মোবাইল ফোনের সাহায্যে ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন। দেখে নিন কয়েকটি আইডিয়া।
অনলাইন আয় আইডিয়া: আপনি যদি চাকরির সন্ধানে থাকেন বা অন্য কোনো কাজে নিয়োজিত না থাকেন, তবে আপনার জন্য রয়েছে অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ। বেকার হলে মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন এবং কর্মরত থাকলেও বাড়তি আয় করার সুযোগ আছে। নির্দিষ্ট সময় ছাড়াই মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করে মাসে অনেক টাকা অর্জন সম্ভব। এ মতো সুযোগ মিস করতে চাইবেন না।
অনেকে ঘরে বসে অতিরিক্ত আয় করতে চান, আবার কেউ কাজের ফাঁকে আয়ের উৎস খুঁজছেন। আজকের লেখায় বেকার ও কর্মরত সকলের জন্য কিছু সঠিক উপায়ের আলোচনা করব, যেখানে শুধু একটি মোবাইল থাকলেই চলবে। নিচে কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ফ্রিল্যান্সিং:
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেকেই জানেন। আপনার মোবাইলে ফটো এডিটিং, টাইপিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের দক্ষতা থাকলে, বাড়িতে বসেই অর্ডার নিয়ে কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এই এ কাজগুলোর মাধ্যমে আয় সম্ভব।
কন্টেন্ট রাইটিং:
অনলাইনে বাড়িতে বসে আয় করার আরেকটি সুযোগ হলো কন্টেন্ট রাইটিং। এখানে আপনি ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লেখার কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের জন্য কন্টেন্ট লিখে আয় করতে পারেন।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর:
যদি আপনার কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকে, তবে আপনি নিজেও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কাজ শুরু করতে পারেন। ইউটিউবে চ্যানেল খুলুন, ইনস্টাগ্রামে আইডি তৈরি করুন বা ফেসবুকে পেজ বানান। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করলে যথেষ্ট আয় করা সম্ভব।
অনলাইন টিউটরিং:
আপনি যদি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হন এবং অনলাইনে শিক্ষা দিতে চান, তাহলে অনলাইন টিউটরিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয় টিউটরিং করে ভালো আয় করতে পারবেন।
অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা:
এখনকার অন্যতম জনপ্রিয় ই-কমার্স ব্যবসা হচ্ছে অনলাইন রিসেলিং। এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পাইকারি দামে পণ্য কিনে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। অনেক অ্যাপ আছে যেখানে কম দামেও পণ্য বিক্রি করে ব্যাপক আয় করা সম্ভব।
কাস্টম টি-শার্ট ডিজাইন ব্যবসা:
মার্কেটে আধুনিক ও লাভজনক ব্যবসা হলো কাস্টম টি-শার্ট ডিজাইন। প্লেইন টি-শার্ট কিনে সেগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রিন্ট করে বিক্রি করতে পারেন। রঙিন টি-শার্ট কিনে আপনার লোগো বা কোটেশন লিখে বিক্রি করে ভালো উপার্জন সম্ভব।
এছাড়া বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ম্যানেজার, সার্ভে বা টাক্স অ্যাপে কাজ করে অনলাইনে আয় সম্ভব। তবে কাজ শুরু করার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিতে এবং বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ